বাংলাদেশের দুর্গাপূজা হবে ৫ ই আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেইবাংলাদেশের দুর্গাপূজা ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ব মহলে নানা প্রশ্নের ঝড় উঠে।
বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর, অত্যাচার ও নির্যাতনের নামে ছড়ানো কিছু গুজব কে কেন্দ্র করে,ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ ও কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় কিছু কুচক্রী মহল।
কিন্তু কি ছিলো সেই ষড়যন্ত্র?
এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যই বা কি???
বাংলাদেশের দুর্গাপূজা ছুটি ২০২৪
বাংলাদেশের একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একসাথে বসবাস করে।
হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই,এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক ও সংখ্যালঘুদের জন্য অনিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে, বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে, সক্রিয় হয়ে পরে স্বৈরাচার সরকারের দোসররা।
অনেক আগের পুরানো, কিছু মন্দির ভাঙচুরের ও বাড়িঘরে আগুনের ছবি,ও ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করে, সেগুলো বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের পরিস্থিতি বলে গুজব ছড়ানো হয়।
কলকাতার সব বাংলা পত্রিকা
অনেক মিডিয়াতেই, বিশেষত ভারতের কলকাতার কিছু স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে, বাংলাদেশ থেকে ছড়ানোই গুজবগুলোকে, কোন যাচাই-বাছাই না করেই আরো রং মাখিয়ে ঢালাও ভাবে প্রচার করা হয়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গুজবের ভিত্তিতে ছড়ানো সংবাদ হল।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল জলের গান এর গায়ক রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাস এর বাসায় আগুন।
বাংলাদেশের বর্ডার পার হয়ে, দলে দলে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভারতে প্রবেশ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলো এটিকে সংখ্যালঘু ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বশ্ববর্তী হয়ে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেন।
এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাজনৈতিক নেতা, বাংলাদেশ নিয়ে নানা বেঁফাস মন্তব্য করা শুরু করেন যা আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে এবং বিশ্ব মিডিয়াতেও এই খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এটাই ছিল মূলত গুজব রটনাকারীদের,প্রধান উদ্দেশ্য।বর্তমান বাংলাদেশ, এবং অন্তবর্তী কালীন সরকার ব্যবস্থাকে, বিশ্ব দরবারে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
কিন্তু কুচক্রী মহলের এই ষড়যন্ত্রকে নৎসাত করতে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ও ছাত্র সমাজ সোচ্চার হয়ে ওঠে।
যার অংশ হিসেবে, সরকার পতনের পরবর্তী অস্থিতিশীল সময়ে বিভিন্ন এলাকাতে দল গঠন করে, ছাত্ররা রাতভর অন্যান্য ধর্মালম্বীদের প্রার্থনা প্রতিষ্ঠান যেমন মন্দির প্যাগোডা পাহারা দেয়।
বিশেষত মাদ্রাসার ছাত্রদের রাত জেগে মন্দির পাহারা দেওয়া বাংলাদেশের বুকে এক অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করে।
রাহুল আনন্দ, লিটন দাস তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে তাদের নিয়ে ছড়ানো গুজবের ব্যাপারে সকলকে সচেতন করেন।
তারপরও বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকাতে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, যেগুলা শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল।
হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতি
সম্প্রতি আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে, আবারো একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে, বাংলাদেশের হিন্দু মুসলিমদের সম্প্রীতির বন্ধন ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে ধারণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,আসন্ন দুর্গাপূজাকে টার্গেট করে বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা কারীদের হুশিয়ার করে বলেন :
দুর্গাপূজায় কোনরকম বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে,তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে ।
শারদীয় দূর্গা পূজার ইতিহাস |
তিনি আরো বলেন এবারে শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
আমার ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকটি জেলায় আট দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছি। এছাড়া সেনাবাহিনী ও বিজেবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া এবার পূজা কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দেওয়া হচ্ছে তারা ২৪ ঘন্টা মন্দিরে নিরাপত্তায় থাকবে।
সাম্প্রদায়িকতার নামে, দেশের মানুষের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে,অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, নাকি অন্য কোন দেশ, তাদের নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে, সেটাই এখন ভাবার বিষয়।
ষড়যন্ত্রকারীরা কি পারবে, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যকার অটুট সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক বন্ধন বিচ্ছিন্ন করতে??? আপনার কি মনে হয়????
দুর্গাপূজা রচনা ছোটদের জন্য
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র
দুর্গাপূজাকে
দুর্গাপূজার ছুটি
দুর্গাপূজা ২০২৪ সময়সূচী
কলকাতার দুর্গাপূজা প্যান্ডেল |