জেন জি মানে কী? পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে, কত প্রজন্ম এলো,কত প্রজন্ম গেল। আবার কত প্রজন্ম কাল এর স্রোতে বিলীন হয়ে গেল।
নতুন প্রজন্ম মানেই,পূর্বের প্রজন্মের রীতি নীতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অভূতপূর্ব সংস্করণ।
পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কম প্রজন্মই আছে,যাদেরকে তার পরবর্তী প্রজন্ম মনে প্রাণে সম্পূর্ণরূপে ধারণ করে।
আজকে বলবো এমনই এক প্রজন্মের কথা, যাদের সকল ক্ষেত্রে সাফল্যমন্ডিত ইতিহাস স্মরণ রাখবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
বলছি বর্তমান সময়ের সব থেকে আলোচিত প্রজন্ম জেন-জি এর কথা।
জেন জি মানে কী? কেনই বা তাদের নিয়ে এত আলোচনা, এর সবকিছুই জানবো আমাদের আজকের এই আলোচনায়।
জেন-জি : ৯০ দশকের শেষের দিক এবং ২০০০ এর দশক এর মধ্যবর্তী সময়ে জন্মগ্রহণকারী প্রজন্মকে বলা হয় “জেনারেশন জেড”(Generation Z) বা সংক্ষেপে “জেন জি”
আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ১৯৯৭-২০১২ এর মধ্যে জন্মগ্রহণ করা তরুণ প্রজন্মকেই বলা হয় জেন-জি।
জেন জি মানে কী? জেন-জি এর পূর্বসূরি ছিলো জেনারেশেন ওয়াই(Generation Y) যারা ১৯৮০-১৯৮৪ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া প্রজন্ম।
তাদের পূর্বসূরী ছিলো জেনারেশন এক্স (Generation X) যারা কিনা ১৯৬০-১৯৭৯ সালের মধ্যবর্তী সময় জন্মগ্রহণ করা প্রজন্ম।
এভাবে ইংরেজি বর্ণমালা এর শেষের দিকের ওয়ার্ডের ক্রমানুসারে এক্স(X), ওয়াই(Y), জেড(Z) প্রজন্ম গুলোর নামকরণ হয়ে আসছে।
জেনারেশন ওয়াই এর বৈশিষ্ট্য
জেন জি ডিজিটাল জেনারেশন, আই(I) বা ইন্টারনেট জেনারেশন (Internet Generation) নামে ও পরিচিত।
ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার এর কারণেই তাদের এই নামকরণ। এটাই এই প্রজন্মের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য।
জেন জি এর পূর্ববর্তী জেনারেশন এর কাছে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ছিলো, অনেকটাই সীমাবদ্ধ ও অসাধ্য ব্যাপার।
কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের কাছে ইন্টারনেট, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার, দৈনন্দিন অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ গুলোর মতই একটি।
এছাড়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও পৃথিবীর বিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর উথানও এ প্রজন্মের সময়ই হয়েছে।
যেমন ২০০৪ সালে আসে ফেসবুক, ২০০৫ সালে চালু হয় ইউটিউব, ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করে এক্স(টুইটার)।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নির্ভরশীলতা,এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে নানামুখী কাজে ব্যবহার এই প্রজন্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
এবার আসা যাক বাংলাদেশে “জেন -জি” নিয়ে হঠাৎ কেনো এত আলোচনা?
জেনারেশন জি বলতে কি বুঝায়?
সম্প্রতি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় স্বৈরাচার হাসিনা সরকার এর।
এই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত হয় একদল তরুণ প্রজন্মের বলি
ষ্ঠ নেতৃত্বে। যাদের সকলেই জেন-জি প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ১৪ জুলাই।
সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, যিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডার্ক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, তার জন্ম ১৯৯৮।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম জেন–জি প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের জন্ম ১৯৯৮ সাল।
এছাড়া কোটা আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের জন্ম ২০০১ সালে।এবং মীর মুগ্ধের জন্ম ১৯৯৮।
জেন জি মানে কী? what is meaning of gen-z
জেন- জি রা ১৯৯৭-২০১২ এর মধ্যবর্তী সময় জন্ম নেয়া প্রজন্ম।
সে হিসেবে ২০২৪ সালে জেন জি প্রজন্মের জ্যেষ্ঠদের বয়স ২৭ এবং সর্বকনিষ্ঠদের বয়স ১২ বছর।
এবার, আমরা যদি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ও পরবর্তী গণ আন্দোলনের দিকে ফিরে তাকাই,
দেখবো সাধারণত স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ১৬-২৭ বছরের শিক্ষার্থীরাই, এই আন্দোলনের প্রাণশক্তি ছিল।
বাংলাদেশের জেন -জি রা, আধুনিক প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিক্ষিপ্ত এক আন্দোলনকে, সারা দেশব্যাপী গণ্য আন্দোলনের রূপে ছড়িয়ে দেয়। যারই ফলশ্রুতিতে পতন হয় স্বৈরাচার সরকারের ,ও উদয় হয় নতুন এক বাংলাদেশের।
আপনিও কি জেন-জি এর অন্তর্ভুক্ত?? জেন-জি সম্পর্কে আপনার মতামত কি??
জেনারেশন ওয়াই
মিলেনিয়াল প্রজন্ম
১ প্রজন্ম = কত বছর
জেন জি অর্থ কি
জেনারেশন জেড
জেন জি কি
জেনারেশন জি