মিশা সওদাগরের জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান, নিয়ে কেনো এতো আলোচনা সমালোচনা ?
“ডায়লগ কম বাবা, ডায়লগ কম, ঐসব পাঠশালা পরিকল্পনা আমার একদম ভালো লাগে না”
মিশা সওদাগরের ডায়লগ
“পানিতে থাইকা কুমিরের লগে কেওয়াজ করিস না””
“যাকে দেখলেই লাগে ডড়,নাম তার মিশা সওদাগর”
ডায়লগ শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন,আজকে কথা বলব, বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের অন্যতম খলনায়ক মিশা সওদাগর কে নিয়ে।
মিশা সওদাগর মোট ছবি কয়টি
প্রায় ১০০০ ছবিতে কাজ করা মিশা সওদাগর, বিভিন্ন চলচ্চিত্রে তার নেগেটিভ চরিত্র, ও ডায়লগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময় আলোচনায় উঠে আসলেও,সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়,যা নিয়ে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। ভিডিওতে মিশা সওদাগর কে, তার চিরচেনা খলনায়ক স্টাইলেই বলতে দেখা যায়
“ মনে রাখবেন জয়কালের ক্ষয় নাই, মরন কালে ওষুধ নাই। কোন কাজ হবে না এখন জয় কাল, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু”
স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব নিয়ে যখন টানাটানি।আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রি নেতারা যখন ছাড়ছেন দেশ।
কেউবা বর্ডার পার হওয়ার চেষ্টা করছেন নিয়ে ছদ্মবেশ।
এমন একটা মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, জোর গলায় মিশা সওদাগরের জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান, জনসাধারণের মনে হাজারো প্রশ্নের উদ্রেগ ঘটায়।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানে নেতারা যখন চুপ, তখন মিশা সওদাগরের কেন এই হুংকার??
মিশা সওদাগরের জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান
আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায়,মিডিয়া জগতের অনেককেই,নিজেদের ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিল এর উদ্দেশ্যে সরকারের তোষামোদ করতে দেখা গেছে। অনেকে তাদের এই কাজে সফল হয়েছেন, শেষ নির্বাচনে ফেরদৌসের এমপি হওয়া তারই প্রমাণ।
স্বয়ং মিশা সওদাগর ও একই পথ অবলম্বন করে,হাজারো নাটকীয়তা ও সমালোচনার জন্ম দিয়ে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতর বর্তমান সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
কিন্তু পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন, তবে কিসের আশায় মিশা সওদাগরের এই বক্তব্য??
মিশা সওদাগর, অন্তবর্তীকালীন সরকারের দুই তরুণ উপদেষ্টার মুখোশ টেনে খুলে দিতে চেয়েছেন কিংবা দুই উপদেষ্টা কে ঘাড় ধরে রাস্তায় নামাবেন,এইরকম হাজারো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু মিশা সওদাগরের সেই ভাইরাল ভিডিও ক্লিপটিতে, উপদেষ্টাদের নিয়ে কোন কথা বলতে দেখা যায়নি।
তবে সম্প্রতি সময়ে উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ও ভূমিকা নিয়ে, সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
অনেক শিক্ষার্থী দাবি করেন, উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা দেশে বৈষম্য দূরীকরণ তাদের একমাত্র লক্ষ্য বললেও,বর্তমানে তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই কাজ করা যাচ্ছেন। এই জন্য কোন কোন শিক্ষার্থীকে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায়।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের রাজনৈতিক প্রচারে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন,সেই টাকা তারা কোথায় পাচ্ছেন?বা এই গণসংযোগের পিছনে তাদের আসল উদ্দেশ্যটাই বা কি? এই নিয়ে জনমনে উঠেছে হাজার প্রশ্ন।
উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যখন নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের জন্ম নিচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে মিশা সওদাগরের এই ভাইরাল বক্তব্য,যেন আগুনে ঘি ঢালার মত।
হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে, স্বৈরাচার সরকারের পতনের এক মাস যেতে না যেতেই। সেই সরকারের পক্ষ নিয়েই মিশা সওদাগরের এই বক্তব্যকে আপনি কিভাবে দেখছেন????